পান(Piper betle)
পান একটি গাছের
নাম। যার পাতাকে পান হিসেবে ডাকা হয়। এটি চিবিয়ে খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। সাধারণত
বয়স্ক লোকেরা পান খেয়ে থাকে। শহরে, গ্রামে সর্বত্রই প্রচুর পান দোকান ও পান খাদক
দেখা যায়। পান খাওয়ার প্রভাবে দাঁত লাল হয়ে যায়। অনেকে নেশার মত পান খায়। সেদিক
বিচারে এটিও একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পান
একটি অতি পরিচিত খাবার। সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে কিংবা কোন বৈঠকে আলোচনা শুরু করার
উপলক্ষ হিসেবে পানের ব্যবহার দেখা যায়। যদিও পান গাছের পাতাকেই পান বলা হয়, পান বলতে
মুলত পানের সাথে সুপারি, চুন ও নানান রকমের জর্দা (তামাক জাতীয় দ্রব্য), খয়ের ইত্যাদি
একসাথে বোঝায়। পানের সাথে সবসময়ই সুপারি দেয়া হয়, তবে অনেকেই সুপারি ছাড়া পান
খেতে পছন্দ করেন।
স্বাস্থ্য
ঝুঁকি আন্তার্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা এজেন্সী'র মতে সুপারি ও পান এক ধরনের
কার্সিনোজেন (বিষ) যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর [১]। সুপারি সহ পান খেলে মুখের ক্যন্সার
হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুপারি দিয়ে পান খেলে মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি
৯.৯ গুন (জর্দা সহ) এবং ৮.৪ গুন ( জর্দা ছাড়া)।
|
(unranked):
|
|
|
(unranked):
|
|
|
বর্গ:
|
|
|
গণ:
|
|
|
P. betle
|
|
সেগুন (Teak)
সেগুন (ইংরেজি: Teak) হল নিরক্ষীয় ও ক্রান্তিয় অঞ্চলের এক প্রজাতির গাছ এবং এ গাছের কাঠ । এর বৈজ্ঞানিক নাম Tectona grandis ।[১] এ গাছের কাঠ বেশ শক্ত হয় এবং আসবাবপত্র বানাতে সেগুন কাঠের ব্যবহার সমাদৃত । সেগুন গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, বিশেষত: ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া । তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্তমানে এ গাছ পাওয়া যায় ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হয় যার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশকসমূহ । পৃথিবীর মোট সেগুন কাঠের যোগানের একতৃতীয়াংশই আসে মায়ানমার থেকে ।সেগুন গাছ একটি বৃহৎ পর্ণমোচী বা পাতাঝরা উদ্ভিদ যা শক্তকাঠের মিশ্রবনভূমিতে বেশি দেখা যায় । সেগুন গাছের ফুল আকারে ছোট, রং সাদা এবং সুগন্ধ যুক্ত আর এর পাতা আকারে বড় এবং পেছন দিকে ছোট আঁশ থাকে ।
বর্ণনা সেগুন
একটি বৃহদাকার পর্ণমোচী বা পাতাঝরা উদ্ভিদ যা উচ্চতায় ৪০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে
। এর কান্ডগুলো ধূসর বা ধূসর–বাদামি রংয়ের । পাতাগুলো অনেকটা ডিম্বাকার এবং মাঝে বেশ
চওড়া, দৈর্ঘ্যে ১৫–৪৫ সে.মি. (৫.৯–১৭.৭ ইঞ্চি) এবং প্রস্থে ৮–২৩ সে.মি. (৩.১–৯.১ ইঞ্চি)
। পাতাগুলো শক্ত বোটার দ্বারা কান্ডের সাথে যুক্ত থাকে এবং বোটা গুলো দৈর্ঘ্যে ২–৪
সে.মি. (০.৮–১.৬ ইঞ্চি) হয়ে থাকে । পাতার প্রান্তগুলো সমান ।
সুগন্ধি সাদা ফুল গুলো
২৫–৪০ সে.মি. লম্বা আর ৩০ সে.মি. ছড়ানো গুচ্ছের মধ্যে জুন থেকে আগস্ট মাসে ফুটে থাকে
।|
(unranked):
|
|
|
(unranked):
|
|
|
(unranked):
|
|
|
বর্গ:
|
|
|
গণ:
|
|
|
T. grandis
|
|
নাগা মরিচ(Capsicum chinense 'Naga Jolokia)
নাগা মরিচ, মরিচের একটি
প্রজাতি, যা প্রচণ্ড ঝালের কারণে সমধিক পরিচিত। অন্যান্য আরো বহু নামে পরিচিত হলেও
কখনও কখনও ভূত জলোকিয়া নামেও পরিচিত। পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমে একে অনেক সময়ই, হয়তো
ভুল করে[১], ভূত মরিচ বলা হয়ে থাকে এর প্রচণ্ড ঝালের কারণে।[২][৩][৪] স্কোভিল
(Scoville: ঝাল পরিমাপের মানদণ্ড) অনুযায়ী এর মান ১০+++।
নাগা মরিচ হলো এশিয়ার বাংলাদেশ এবং নিকটবর্তী ভারতের উত্তর-পূর্বাংশের
আসাম রাজ্যের হাইব্রিড বা মিশ্র প্রজাতি।[৫][৬] এটি ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে,
এবং বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে জন্মায়। এটি শ্রীলঙ্কার গ্রামাঞ্চলেও জন্মায়, যেখানে
এটি নাই মিরিচ (Nai Mirris: Cobra Chilli) নামে পরিচিত। প্রথমদিকে এটা একটা সন্দেহ
ছিলো যে, নাগা কি Capsicum frutescens[৭] নাকি Capsicum chinense মরিচ, কিন্তু পরবর্তিতে
ডিএনএ পরীক্ষা নিশ্চিত করে যে, এটি একটি দ্বিপ্রজাতির মধ্যকার মিশ্র প্রজাতি, অধিকাংশ
ক্ষেত্রে C. chinense গোত্রের, যাতে কিছুটা C. frutescens জিন রয়েছে।[৮] ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে
গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস নাগা মরিচকে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝাল মরিচ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়,
যা টবাসকো সস (Tabasco sauce) থেকে ৪০১.৫ গুণ বেশি ঝাল।
বিভিন্ন নাম
বাংলাদেশে এই মরিচকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। সিলেট অঞ্চলে একে
নাগা মরিচ বলা হলেও [{ঢাকা]]সহ অন্যান্য অনেক স্থানে একে বোম্বাই মরিচও বলা হয়ে থাকে।
|
(unranked):
|
|
|
(unranked):
|
|
|
(unranked):
|
|
|
বর্গ:
|
|
|
গণ:
|
|
|
Subspecies:
|
|
|
Capsicum chinense 'Naga Jolokia
|
|
সুন্দরী(Heritiera fomes)
সুন্দরী, একপ্রকার বৃক্ষ, যার বৈজ্ঞানিক নাম Heritiera fomes। এটি Sterculiaceae পরিবারভুক্ত একটি উদ্ভিদ। গাছটি সমুদ্র-উপকূলীয় বৃক্ষ হিসেবে সুপরিচিত। ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সমুদ্র-উপকূলবর্তী লোনা এলাকায় বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ও ভারত উপকূলে এর স্থানীয় নাম সুন্দরী, এখানে বিখ্যাত লোনা-বন (mangrove) সুন্দরবনের প্রায় ৭০% জুড়েই এজাতীয় গাছের আধিপত্য।
Kingdom:
|
|
(unranked):
|
|
(unranked):
|
|
(unranked):
|
|
Order:
|
|
Family:
|
|
Genus:
|
|
Species:
|
H. fomes
|

.jpg)
.jpg)


.jpg)
.jpg)






.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
