আকন্দ(Calotropis gigantea)





আকন্দ এক প্রকারের ওষধি গাছ।

এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Calotropis gigantea, C. procera। গাছটির বিষাক্ত অংশ হলো পাতা ও গাছের কষ। কষ ভীষণ রেচক, গর্ভপাতক, শিশু হন্তারক, পাতা মানুষ হন্তারক বিষ।                                           পরিচিতি
আকন্দ এক প্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছ সাধারণত: ৩-৪ মিটার পর্যন্ত উচুঁ হয়ে থাকে। আকন্দ দুই ধরণের গাছ শ্বেত আকন্দ ও লাল আকন্দ। শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা ও লাল আকন্দের ফুলের রং বেগুনি রং এর হয়ে থাকে। গাছের পাতা ছিড়লে কিংবা কান্ড ভাঙ্গলে দুধের মত কষ (তরুক্ষীর) বের হয়। ফলসবুজ,অগ্রভাগ দেখতে পাখির ঠোটের মত। বীজ লোম যুক্ত,বীজের বর্ণ ধুসর কিংবা কালচে হয়ে থাকে।                                                               প্রাপ্তিস্থান
বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। রাস্তা পাশে এবং পরিত্যক্ত স্থানে বেশি পাওয়া যায়।
রাসায়নিক উপাদান
পাতায় এনজাইম সমৃদ্ধ তরুক্ষীর বিদ্যমান। এতে আছে বিভিন্ন গ্লাকোসাইড,বিটা-এমাইরিন ও স্টিগমাস্টেরল আছে।
ব্যবহার্য অংশ
ছাল,পাতা,ফুল ও কষ
গুনাগুন
বায়ুনাশক, উদ্দিপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যাথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারক। প্লীহা, দাদ, শোথ, অর্শ, ক্রিমি ও শ্বাসকষ্টে উপকারী।

বিশেষ কার্যকারিতা                                                                                     বায়ুনাশক, পাকস্থলীর ব্যথা ও হজমকারক
উপপরিবার:
C. gigantea
Calotropis gigantea
(L.) W.T.Aiton

তুলসী(Basil)




তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিমিষ্ট ২/৩ ফুট উঁচু একটি চিরহরিৎ গুল্ম।  এর মূল কান্ড কাষ্ঠল, পাতা ২-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতার কিনারা খাঁজকাটা, শাখাপ্রশাখার অগ্রভাগ হতে ৫ টি পুষ্পদন্ড বের হয় ও প্রতিটি পুষ্পদন্ডের চারদিকে ছাতার আকৃতির মত ১০-২০ টি স্তরে ফুল থাকে। প্রতিটি স্তরে ৬টি করে ছোট ফুল ফোটে। এর পাতা, ফুল ও ফলের একটি ঝাঁঝাল গন্ধ আছে। বাংলাদেশ ভারতের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। হিন্দুবাড়িতে বেশি দেখা যায়, পূজায় ব্যবহার হয়। ভারতে বাণিজ্যক ভাবে চাষ হয়। জুলাই আগষ্ট বা নভেম্বর ডিসেম্বর এতে মঞ্জরী দেখা দেয়।
বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum basilicum Linn পরিবার: Libiatae ইংরেজি নাম: Common basi-তুলসী গাছ
ঔষধিগুণ:                                                                                                   শিশুদের সর্দি কাশির জন্য এটি একটি মহা ঔষধ হলেও যে কোন বয়সের মানুষই এ থেকে উপকার পেয়ে থাকে
পর্ব:
O. basilicum
Ocimum basilicum
L.

কেয়া(Fragrant Screw Pine)




ফুলটার বাংলায় নামঃ কেয়া অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে Fragrant Screw Pine, Umbrella tree, Screw pine, Screw tree নাম গুলো উল্লেখযোগ্য। বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus odoratissimus এটি Pandanaceae (screw pine family) পরিবারের একটা উদ্ভিদ। সংস্কৃত তে এটাকে বলে কেতকী।

এটি একটি সুগন্ধি উদ্ভিদ । বাংলায় বিরিয়ানী রান্না কেওড়ার জল ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। এই ফুল থেকেই বাস্পীভবন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় কেওড়ার জল (pandanus flower water)।
(unranked):
(unranked):
P. fascicularis
Pandanus fascicularis
Lam.

একাঙ্গী (Kaempferia galanga)




বাংলা নাম একাঙ্গী বা ভুঁই চম্পা (Kaempferia galanga) এটি Zingiberaceae পরিবারে অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ ।অন্যান্য নামের মধ্যে Aromatic Ginger, Resurrection lily, Lesser galangal, Sand ginger এইগুলি উল্লেখ করা যায়।

একাঙ্গী বা সুরভিত আদা দক্ষিণ চীন, তাইওয়ান, কম্বোডিয়া এবং ভারতে এলাকাতে মূলত খুঁজে পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ও বিস্তীর্ণভাবে এর চাষ করা হয়। এটি থাই ও চাইনীজ রান্নাতে এটি ব্যবহার করা হয়। পাতা পুরু এবং গোলাকৃতি মাটির সাথে লাগানো অবস্থায় থাকে। নতুন পাতা ক্ষুদ্র রাইজোম থেকে বসন্তকালে বাড়তে শুরু করে। গ্রীষ্মকালে এক অথবা দুই ফুলটি ফুল হয়। দুই মাস পর্যন্ত ফুল ফোটে। - পাতা হেমন্তকালে মরে যায় এবং রাইজোম শীতকালের সুপ্ত অবস্থায় চলে যায়। শুকনা বা তাজা রাইজোম মসলা হিসেবে এশীয়ান ও চাইনীজ রান্নাতে ব্যবহার করা হয়। মৎস শিকারের চারা তৈরীতে এটি ব্যবহার হয়।
(unranked):
(unranked):
(unranked):
উপপরিবার:
গোত্র:
Kaempferia
K. galanga
Kaempferia galanga
(L.)

মরিচ(Chilli)




মরিচ বা লংকা এক প্রকারের ফল যা ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে। মরিচের ফলকে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

মরিচের আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশে। তবে বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র রান্না ও ঔষধি হিসাবে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ইতিহাস:
প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। ইকুয়েডর এর দক্ষিণ পশ্চিমাংশে পুরাতাত্ত্বিকেরা ৬০০০ বছর আগে মরিচ চাষের প্রমাণ পেয়েছেন। [১][২]
মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে মরিচের চাষ করা হতো প্রাচীন কাল থেকেই। [৩]
ইউরোপীয়দের মধ্যে ক্রিস্টোফার কলম্বাস প্রথম ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে মরিচের দেখা পান। ভারতবর্ষে উৎপন্ন গোল মরিচের মতো ঝাল বলে তিনি এগুলোকে Pepper নাম দেন। অবশ্য গোল মরিচের গাছের সাথে মরিচ গাছের সম্পর্ক নেই।
কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পর থেকে মরিচ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।[৪][৫] দিয়েগো আলভারেজ চানকা নামের একজন চিকিৎসক কলম্বাসের দ্বিতীয় অভিযানের সময়ে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ হতে মরিচ স্পেনে নিয়ে আসেন। তিনি ১৪৯৪ সালে মরিচের ঔষধী গুনাগুণ নিয়ে প্রবন্ধ লিখেন।
স্পেনীয় ব্যবসায়ীরা মেক্সিকো থেকে মরিচ এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। প্রথমে ফিলিপাইন্স, এবং তার থেকে ভারতবর্ষ, চীন, কোরিয়া, ও জাপানে মরিচ বিস্তার লাভ করে। ঝাল ও স্বাদের জন্য অচিরেই এটি এশিয়ার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় খাবারের অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়।                                                             প্রজাতি:                                                                                                                  মরিচের বহুল প্রচলিত প্রজাতি গুলো হলো                                                               Capsicum annuum, which includes many common varieties such as bell peppers, paprika, cayenne, jalapeños, and the chiltepin
Capsicum frutescens, যার মধ্যে টাবাস্কো জাতের মরিচ রয়েছে।
Capsicum chinense, এর মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে ঝাল মরিচ, যেমন naga jolokia (বাংলাদেশ ও পূর্বভারতে চাষ হয়), habanero, Datil ও Scotch bonnet
Capsicum pubescens, দক্ষিণ আমেরিকার rocoto মরিচ
Capsicum baccatum 

ধনিয়া(Coriander)




ধনিয়া বা ধনে (ইংরেজি: Coriander) একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে বানানো তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়। বঙ্গ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধনের পাতা এশীয় চাটনি ও মেক্সিকান সালসাতে ব্যবহার করা হয়।
(unranked):
(unranked):
(unranked):
Coriandrum
C. sativum
Coriandrum sativum
L.