চিরতা(Swertia chirayit)





চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর জন্মে। জেসিএনেসি বর্গের অন্তর্গত এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Swertia chirayita (Roxb. ex Fleming) H. Karst.।হিন্দীতে এর নাম “চিরায়াতা”।
বর্ণনা
চিরতা বর্ষজীবি উদ্ভিদ। গাছটির গড় উচ্চতা প্রায় দেড় মিটার। গাছের পাতা কম-বেশী ১০ সে.মি. দীর্ঘ। পাতার অগ্রভাগ সূঁচালো। ফুল বৃন্তহীন, জোড়ায় জোড়ায় বিপরীতমুখী হয়ে ফোটে। ফুল হালকা সবুজের সঙ্গে গোলাপী মেশানো প্রত্যেক পাপড়ি লতিতে এক জোড়া সবুজ গ্রন্থি থাকে। ফল ৬ মি.মি. কিম্বা তারও বেশী লম্বা এবং ডিম্বাকৃতি।                                                                                                                                                                                     ঔষধী গুণ
ফুলন্ত অবস্থায় পুরো গাছ তুলে শুকিয়ে নিয়ে ওষুধের কাজে ব্যবহার করা হয়। অত্যাধিক তিক্ততা, জ্বর ও কৃমিনাশক শক্তি এবং পাচকতার গুণে চিরতা সারা ভারতে সুপ্রসিদ্ধ। ঔষধী গুণে, চিরতা জেণ্টিআনা কুরুর অনুরূপ। জ্বর, অতিসার এবং দুর্বলতায় চিরতা খুব উপকারী। ম্যালেরিয়াতেও দেওয়া হয় কিন্তু চিরতার জ্বর কমানোর শক্তি পরীক্ষায় সম্প্রমাণিত নয়।
(unranked):
(unranked):
(unranked):
Swertia
L.
Species
120-150, See text.
Kingdon-Wardia C. Marquand
Ophelia
 D. Don
Pleurogyne
 Eschsch. ex Griseb.
Swertopsis
 Makino
Synallodia
 Raf.
Tesseranthium
 Kellogg
Probable synonyms
Anagallidium Griseb.
Possible synonyms
Frasera
 Walter
Lomatogoniopsis
 T. N. Ho & S. W. Liu
Sources: GRIN,[১]
 ING,[২] NHM[৩

আখ(Saccharum officinarum)





আখ হল বাঁশ ঘাসের জাতভাই এর রস চিনি গুড় তৈরির জন্য ব্যবহার হয় বলে এর চাষ করা হয় আখ শব্দের উত্পত্তি "ইক্ষু" থেকে এটি Gramineae পরিবারের অন্তর্গত উদ্ভিদ অবশ্য বর্তমানে পরিবারটি Poaceae নামেও পরিচিত বাংলাদেশে এর যে প্রজাতি চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum officinarum উৎপাদন
আখ একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদপ্রথাগতভাবে আখের কান্ডের একটি টুকরা দুই-তৃতীয়াংশ মাটিতে পুঁতে দিয়ে এর চাষ করা হয়তবে ইদানীং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণাগারে টিস্যু কালচারের মাধ্যমেও আখের ব্যাপক চাষ হচ্ছে
বাংলাদেশের আখের উৎপাদন
বাংলাদেশে গড়ে প্রতি বছর .৪৩ মিলিয়ন একর জমিতে . মিলিয়ন মে.টন আখ উৎপন্ন হয়দেশের ১৫টি চিনিকলে বছরে গড়ে .-.৯৯ লক্ষ মে. টন চিনি উৎপন্ন হয় বাকিটা গুড় খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়বাংলাদেশ খাদ্য চিনি শিল্প কর্পোরেশন BSFIC নামে প্রতিষ্ঠান চিনি শিল্প নিয়ন্ত্রণ করে
বেসরকারিভাবে ২০০৭- আরো ৩টি কোম্পানি চিনি উৎপাদনে আসছে, যার মধ্যে মেঘনা গ্রুপের বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা লাখ মে. টন বলে বলা হচ্ছেবাংলাদেশের বাৎসরিক চিনির চাহিদা ১০-১২ লক্ষ মে. টন যার . লক্ষ টন দেশে উৎপন্ন হয় বাকিটা আমদানি চোরাই পথে আসে
Saccharum
L.
Species
Saccharum arundinaceum
Saccharum bengalense
Saccharum edule
Saccharum officinarum
Saccharum procerum
Saccharum ravennae
Saccharum robustum
Saccharum sinense
Saccharum spontaneum

টিউলিপ (Tulip)





টিউলিপ (ইংরেজি: Tulip; বৈজ্ঞানিক নাম: Tulipa) পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়াও এটি বাগানে কিংবা বাণিজ্যিকভিত্তিতে জমিতেও চাষ করা হয়। অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায়। গৃহের অঙ্গসৌষ্ঠব বৃদ্ধিকারী ফুল হিসেবে এর সুনাম রয়েছে।
বর্ষজীবি ও কন্দযুক্ত প্রজাতির এ গাছটি লিলিয়াসিয়ে পরিবারভূক্ত উদ্ভিদ। সংকরায়ণসহ টিউলিপের সকল প্রজাতিকেই টিউলিপ নামে ডাকা হয়। টিউলিপ প্রায় ১৫০ প্রজাতিতে বিভাজ্য এবং অগণিত সংকর প্রজাতি রয়েছে।                                                                                                                  বিবরণ
টিউলিপ বর্ষজীবি ও বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। এটি মুকুল থেকে জন্মায়। বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ৪ ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন হয়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়। কিন্তু কিছু প্রজাতিতে (যেমন - টিউলিপা তুর্কেস্টানিকা) কয়েকটি ফুল হতে পারে।
জমকালো ও আড়ম্বরপূর্ণ ফুলগুলো সাধারণতঃ কাপ কিংবা তারার আকৃতি হয়ে থাকে। এর তিনটি পুষ্পদল এবং তিনটি বহিঃদল রয়েছে। ফলে এর অভ্যন্তরভাগ গাঢ় রঙের দেখায়। টিউলিপে খাঁটি নীলাভ রঙ ব্যতীত বিভিন্ন রঙের হয়।[২][৩] এর ফল মোড়কে ঢাকা থাকে যা অনেকটা ক্যাপসুল আকৃতির। দুই সারিতে বীজ থাকে।[৪] হাল্কা থেকে ঘন বাদামী বর্ণের বীজগুলো খুবই পাতলা আবরণবিশিষ্ট। টিউলিপের ডাঁটায় অল্প কিছু পাতা থাকে। বৃহৎ প্রজাতিতে অনেকগুলো পাতা থাকতে পারে। সাধারণতঃ দুই থেকে ছয়টি পাতা থাকে। প্রজাতিভেদে এ পাতার সংখ্যা সর্বোচ্চ ১২টি হতে পারে। পাতাগুলো নীলাভ সবুজ রঙের হয়।
আর্থিক উপযোগিতা
বাণিজ্যিকভিত্তিতে অটোম্যান সাম্রাজ্যে চাষাবাদ শুরু হলেও পরবর্তীকালে নেদারল্যান্ডে বাণিজ্যধর্মী আবাদ শুরু হয়। হল্যান্ড বিশ্বের প্রধান টিউলিপ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত। বার্ষিক তিন বিলিয়নেরও অধিক টিউলিপ কন্দ উৎপাদন করে ও রপ্তানী আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসরূপে বিবেচিত।নেদারল্যান্ডের সাথে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।     চাষাবাদ প্রণালীকে প্রায়শঃই ডাচ টিউলিপ নামে আখ্যায়িত করা হয়। টিউলিপকে ঘিরে শিল্প গড়ে উঠেছে এবং টিউলিপ উৎসব পালন করা হয়।
দু'টি প্রধান কারণে টিউলিপ উৎপাদন করা হয় - (ক) ফুল উৎপাদন এবং (খ) শুষ্ক কন্দ উৎপাদন। উদ্যান, বাগান, গৃহে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কন্দ উৎপাদন করা হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ফুলের বিনিময় মূল্য প্রায় এগার হাজার মিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল করে রাখছে।                                                                                 উৎপত্তি
পামির মালভূমি এবং হিন্দুকুশ পর্বতমালার এলাকা থেকে উদ্ভূত হয়ে কাজাখস্তানে[৬] স্থানান্তরিত হয় যা পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান, ইউরোপের দক্ষিণাংশ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়ার আনাতোলিয়া থেকে ইরানের পূর্বাংশ, চীনের উত্তর-পূর্বাংশ এবং জাপানে এ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। টিউলিপের সাথে হল্যান্ডের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ষোড়শ শতাব্দী থেকে টিউলিপের চাষ হয়ে আসছে।
টিউলিপকে ইরান ও তুরস্কে ফার্সি ভাষায় লালে নামে ডাকা হয়। ধারনা করা হয় যে, টিউলিপের অনেক প্রজাতির আদি আবাসস্থল হিসেবে এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় গড়ে উঠেছে।
পারস্যে লাল টিউলিপকে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়। লাল টিউলিপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কালো অংশের মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয় ভেঙ্গে খানখান ও কয়লার ন্যায় পুড়ে যাওয়া এবং হলুদ টিউলিপ বিনিময় করাকে আশাহীন ও সম্পূর্ণভাবে নিরাশাগ্রস্ত আকারে তুলে ধরা হতো।
উপপরিবার:
গোত্র:
Tulipa
L. 1753
Tulipa:[১]
§  Amana হোন্ডা

ঝিংগা(Trichosanthes cucumerina)




ঝিংগা ঝিঙে একটি সবজি। বর্ষজীবি, ফেব্রুয়ারি-মে তে পাওয়া যায়। ৬"-১৮" দৈর্ঘ হতে পারে।
Kingdom:
(unranked):
(unranked):
(unranked):
Order:
Family:
Genus:
Species:
T. cucumerina
Trichosanthes cucumerina
L.
Trichosanthes anguina L.

কুসুম ফুল(Carthamus tinctorius)




কুসুম একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । ১ - ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কমলা- হলুদ রংএর ফুর গুলি প্রায় ১ থেকে ১১/২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। পৃথিবী বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নাই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনকে সময় অনেকে ধোকা খায়।
তবে এর কিছু ঔষধি গুনাবলী রয়েছে। গরম পানিতে এর নির্যাস শরীর থেকে ঘাম নির্গত করে বলে ঠান্ডাজনিত রোগশোকে ব্যবহৃত হয়। শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। এর ফুল আবার জন্ডিসের জন্য উপকারী।
কুসুমগাছ দুই ধরনের। একটি বেশ বড় এবং উঁচু, অন্যটি খুবই ছোটও ঝোপালো ধরনের। মূলত ছোট গাছ থেকেই রং পাওয়া যায়। এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনাআপনিই জন্মে। কাপড়ের রং হিসেবে কুসুম অনেক পুরোনো ও বিখ্যাত। প্রাচীন মিসরেও এর চাষ হতো।
(unranked):
(unranked):
(unranked):
গোত্র:
C. tinctorius
Carthamus tinctorius
(Mohler, Roth, Schmidt & Boudreaux, 1967)[১]